ডেস্ক নিউজ: কার্ল মার্কসের মূল লক্ষ ছিলো শ্রেণীহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করা মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, শ্রেণীহীন সমাজ প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় মানুষের শাসনের জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হবে বস্তুর শাসন এবং রাষ্ট্রহীন সমাজ প্রতিষ্ঠিত হওয়াই মার্ক্সীয় দ্বন্দ্ববাদেরও অবসান ঘটবে। এখানে ব্যক্তি যোগ্যতা অনুসারে সমাজকে দান করবে এবং প্রয়োজন অনুসারে ব্যক্তি পাবে সমাজের কাছ থেকে।
তিনি বলেন, শোষণ, বঞ্চনার অবসান ঘটিয়ে যারা এই পৃথিবীর বুকে শান্তি প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নিয়োজিত তাদের শিক্ষক, পথপ্রদর্শক, অনুপ্রেরণার উৎস হলেন কার্ল মার্কস। বিপরীতে, দুনিয়ার সমস্ত শোষকদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু কার্ল মার্কস।
শনিবার নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে বিপ্লবী দার্শনিক ও সমাজবিজ্ঞানী কার্ল মার্কসের দ্বীশততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে পুঁজিবাদ ও শোষণ ব্যবস্থা বিরাজ করছে। পুঁজিবাদী শোষণের নির্মমতা, বর্বরতা সকলের চোখের সামনে। যে পুঁজিতে আধিপত্য হলো পুঁজিবাদের মর্মবস্তু, সেই পুঁজির আবির্ভাব ঘটে যখন তখন তার সমগ্র দেহ থেকে চুঁইয়ে পড়ছে রক্ত। পুঁজিবাদ, তার নির্মম শোষণ ও চক্রাকারে সঙ্কট এবং সঙ্কটের তীব্রতা বৃদ্ধি মার্কসবাদকে বর্তমান সময়ে আরও প্রাসঙ্গিক করে তুলেছে।
ন্যাপ মহাসচিব বলেন, আত্মসর্বস্বতা, ব্যক্তিস্বার্থের চোরাগতিতে মানব মননকে টেনে নামানোর লক্ষ্যে বিশ্ব পুঁজিবাদ দর্শনের ক্ষেত্রে নতুন নতুন আক্রমণ নামিয়ে আনছে। দর্শনের জগতে সংগ্রামের গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পেয়েছে, বর্তমান সময়ে। সেই জন্য মার্কসীয় দর্শন হয়ে উঠেছে আরও প্রাসঙ্গিক।
তিনি বলেন, পুঁজিবাদ-সাম্রাজ্যবাদের পতন ছাড়া সমতা, শান্তি, প্রগতি সম্ভব নয় এই উপলব্ধি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়নের বিপর্যয়ের পর সাময়িক দ্বিধা অতিক্রম করে সমগ্র বিশ্বজুড়েই পুঁজিবাদী শোষণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-সংগ্রাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিপ্লবী মতবাদ-মার্কসবাদের প্রাসঙ্গিকতা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ন্যাপ ঢাকা মহানগর সদস্য সচিব মো. শহীদুননবী ডাবলু’র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান কাজী ফারুক হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব স্বপন কুমার সাহা, মো. নুরুল আমান চৌধুরী, নগর যুগ্ম আহ্বায়ক আনছার রহমান শিকদার, অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, সাবেক ছাত্র নেতা এম.এন. শাওন সাদেকী, যুব নেতা আবদুল্লাহ আল কাউছারী, ছাত্রনেতা সোলায়মান সোহেল প্রমুখ।